নামায আদায় করা সত্ত্বেও অপর্কম করা

ইসলামী জিন্দেগীআকীদা২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে যে, নামায সমস্ত বেহায়াপনা এবং অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। অথচ আমরা দেখি অনেকে নামায পড়েন এবং অশ্লীল কাজও করেন। অনুগ্রহপূর্বক ব্যাপারটি তথ্যসহ জানতে ইচ্ছুক।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

পবিত্র কুরআনের যে আয়াতে বলা হয়েছে নামায যাবতীয় অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে, সে আয়াতেই কিভাবে নামায আদায় করলে নামায অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখবে তাও বর্ণনা করা হয়েছে।

বস্তুতঃ নামায তখনই অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখবে, যখন নামায কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী হবে। অর্থাৎ রাসূল c যেভাবে জাহেরী ও বাতিনী আহকাম পালন করতঃ নামায আদায় করেছেন এবং সারা জীবন মৌখিকভাবে শিক্ষা দানও করেছেন, তদ্রুপ নবীজী c –এর পূর্ণ সুন্নাত অনুযায়ী নামায আদায় করতে হবে। যে ব্যক্তি এমনভাবে নামায আদায় করবে, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে অবশ্যই সৎকর্মের তাওফীক প্রাপ্ত হবে এবং যাবতীয় গোনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক পাবে।

যেমনঃ রাসূলুল্লাহ c কে উক্ত আয়াতের তাফসীর জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দেন যে, যে ব্যক্তিকে তার নামায অশ্লীল ও গর্হিত কর্ম থেকে বিরত রাখে না, তার নামায প্রকৃত নামাযই নয়। এখন আমরা নিজেদের নামায হুবহু সুন্নাত অনুযায়ী হয়েছে কি-না এবং খুশু-খুযুর সাথে হয়েছে কি-না, তা যাচাই করে দেখতে পারি। তাহলেই বুঝা যাবে আসল ব্যাপারটা কি? পঙ্গু নামায দ্বারা আমরা কিভাবে আশা করতে পারি যে, আমাদের নামায আমাদেরকে যাবতীয় পাপাচার ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখবে! বর্তমানে মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত থানবী i এর প্রতিষ্ঠিত মজলিসে দাওয়াতুল হকের মাধ্যেমে নামাযের আমলী মশক (ট্রেনিং) দ্বারা নামাযকে সুন্নাত অনুযায়ী আদায় করার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা উক্ত মেহনতের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নামায, আযান ও ইক্বামত ঠিক করে নিতে পারি। তাহলে আমাদের নামায আমাদেরকে অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখবে বলে আশা করা যায়।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • তাফসীরে রুহল মা’আনী, খন্ড: ১১, পৃষ্ঠা: ২৪৩
  • তাফসীরে কাবীর, খন্ড: ২৫, পৃষ্ঠা: ৭২
  • মা’আরিফুল কুরআন, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬৯৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১