নবীকে হাজির-নাজির ও ওলীদের কবরে যিন্দা মনে করার হুকুম

ইসলামী জিন্দেগীআকীদা২৩ ফেব, ২১

প্রশ্ন

আমি একটা মিলে চাকুরী করি। মিল মসজিদের ইমাম সাহেব এবং বাসার আশপাশের মসজিদের ইমামগণ এই আকীদা পোষণ করেন যে, নবী c হাযির ও নাযির। নবী c নূরের তৈরী। যা সরাসরি আল্লাহ পাকের জাতি নূরের অংশ। খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী i সহ সকল ওলীগণ স্বীয় কবরে যিন্দা। তাদেরকে যে মৃত বলবে, সে কাফের হবে। এ ধরনের আরো অনেক ভ্রান্ত আকীদা পোষণ করেন। উল্লেখিত আকীদা পোষণের কারণে আমি তাদের পিছে নামায পড়ি না। একাকী নামায পড়ে নেই। এখন জুমু’আর নামায নিয়ে সমস্যা। কারণ-শুক্রবারও ডিউটি থাকে। অনেক দূরে গিয়েও জুমু’আ আদায় করা সম্ভব হয় না। এমতাবস্থায় উক্ত ইমামের পিছনেই জুমু’আর নামায আদায় করবো, নাকি একাকী যোহরের নামায আদায় করবো?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

আপনার বর্ণনা মতে, উল্লেখিত আকীদা পোষণকারী ব্যক্তিরা নিঃসন্দেহে গুমরাহ এবং বিদ’আতী। আর বিদ’আতী লোকের পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমী।

তবে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সরাসরি আলিমুল গাইব ও হাযির-নাযির মনে করা, তাকে নূরের তৈরী মনে করা এবং সে নূরকে আল্লাহ তাআলার জাতি নূরের অংশ মনে করা কুফরী আকীদার শামিল। এক্ষেত্রে এ ধরনের আকীদা পোষণকারী ব্যক্তিরা পিছনে নামায না পড়ে অন্য কোন মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে হবে। অন্য মসজিদ অনেকদূরে হলেও সেখানে গিয়ে জুমু’আর নামায আদায় করতে হবে। যদি কোন দিন বিশেষ কোন কারণে দূরের মসজিদে গিয়ে জুমু‘আর নামায আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে একা একা যোহরের নামায আদায় করে নিবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • কিফায়াতুল মুফতী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৬৪
  • ফাতাওয়া দারুল উলূম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৪০
  • ফাতাওয়া মাহমূদিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৩
  • দুররে মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৬৬
  • সূরা: আল-আনআম, আয়াত: ৫৯

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ ফেব, ২১