নবী করীম ﷺ হাযির-নাযির কি না

ইসলামী জিন্দেগীআকীদা২৩ ফেব, ২১

প্রশ্ন

জনৈক মাওলানা সাহেব বলেছেন এবং ফাতওয়াও দিয়েছেন যে, নবী করীম ﷺ হাযির-নাযির।  এটাই তিনি বিশ্বাস করেন। এ ফাতওয়াটা কতটুকু সত্য? হানাফী মাযহাব অনুযায়ী বিস্তারিতভাবে জানালে অত্র এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

সর্বত্র হাযির-নাযির থাকা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ছিফাত। কোন নবী বা ওলী সব জায়গায় হাযির-নাযির হতে পারেন না। আল্লাহ তা‘আলার ছিফাতের সঙ্গে বান্দাকে মিলানো কুফর ও শিরক। এ ধরনের বিশ্বাস দ্বারা ঈমান চলে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে, নবী করীম c ইরশাদ করেন, তোমরা আমার উপর দরূদ শরীফ পড়লে ফিরিস্তাদের মাধ্যমে তোমাদের নাম ও গোত্রসহ তা আমার নিকট পৌঁছানো হয়। -নাসাঈ শরীফ ১ঃ১৪৩

নবী c হাযির-নাযির কুরআন ও হাদীসে এর কোন প্রমাণ নেই। যারা এ রকম বিশ্বাস রাখে, তারা গোমরাহ এবং বিদ’আতী। এটা শুধু হানাফী মাযহাবেরই নয় বরং সকল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা। তাদের পিছনে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে হলে দেখুনঃ শরীয়ত ইয়া জাহালাত ৩৮০ পৃঃ, মিশকাত শরীফ ১ঃ৮৬২, জাওয়াহিরুল ফিকহ ১ঃ২১৭, দারিমী শরীফ ৪১৬, আহসানুল ফাতাওয়া ১ঃ৩৪৭, মাহমূদিয়া ১ঃ১৮৮, কিফায়াতুল মুফতী ১ঃ১৫০

তবে একথা ঠিক যে, রাসূল c স্বীয় কবরে জীবিত আছেন এবং প্রতি সপ্তাহে দুদিন তাঁর সামনে ফিরিশতাদের মাধ্যমে উম্মতের আমল পেশ করা হয়।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • বাযযাযীয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩২৬

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ ফেব, ২১