ধোকাবাজ ও ধুষদাতার ইমামতী

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

জনৈক ইমাম সাহেব টিভি দেখেন। নিজের চাকুরীর জন্য স্বীয় হাতে ঘুষ প্রদান করেন। ১৯৯৩ ইংরেজী হতে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু সরকারকে কাগজ-পত্রের মাধ্যমে ১৯৯০ সনে প্রতিষ্ঠা দেখিয়েছেন। অথচ তখন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ঘর বা জায়গা বলতে কিছুই ছিল না। উক্ত মাদ্রাসার মঞ্জুরী সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর হয়েছে।

এমতাবস্থায় উল্লেখিত তিনটি অন্যায় কাজে লিপ্ত ইমামের পিছনে নামায পড়া ও তার ইমামতী করা শরী‘আতের দৃষ্টিতে কতটুকু বৈধ?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

টিভি দেখা, ঘুষ দেয়া ও মিথ্যা কথা বলে ফায়দা উঠানো ইত্যাদি কাজ প্রত্যেকটাই কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। আর কবীরা গুনাহে অভ্যস্ত ব্যক্তিকে শরী‘আতের দৃষ্টিতে ফাসিক বলা হয়। কোন ফাসিক ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ করা বা ইমাম পদে বহাল রাখা জায়িয নয়। অনুরূপভাবে ফাসিকের পিছনে নামায পড়াও মাকরূহে তাহরীমী এবং এ ধরনের ব্যক্তির জন্য ইমামতী করাও নাজায়িয।

সুতরাং বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত ইমাম সাহেব এসব কবীরা গুনাহে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে তার পিছনে নামায পড়া এবং তার জন্য ইমামতী করা মাকরূহে তাহরীমী হবে। তবে তিনি খালিসভাবে তাওবা করলে এবং অন্যায়গুলো শুধরিয়ে নিলে তখন মসজিদ কমিটি তাকে বহাল রাখতে পারেন।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আল-বাহরুর রায়িক, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩৪৯
  • মাহমূদিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৭
  • ইমদাদুল মুফতীন, পৃষ্ঠা: ৩১৯

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১