দ্বীন শিক্ষার্থীর জন্য ফেরেশতা নূরের পাখা বিছানো এবং জান্নাতের পথ সহজ হওয়া সম্পর্কে কথাটি সঠিক কি না

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসআকীদা২৮ মে, ২২

প্রশ্ন

তাবলীগ জামাতী ভাইদের নীচের কথা কি দলিল ভিত্তিক? নাকি মনগড়া জানালে খুবই উপকৃত হব। উত্তর যথা সম্ভব দ্রুত দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো-

১. যে বেক্তি এলেমে দ্বীন শিক্ষা করার জন্য বের হয় আল্লাহ তায়ালা তার জন্য বেহেশতের রাস্তা সহজ করে দেন আর ফেরেশতাগণ তালেবে এলমের সম্মানে পাখা বিছিয়ে দেন এবং আসমান-জমীনের সকল মাখলুক তার জন্য এস্তেগফার করতে থাকে। ২. তালেবে এলেমের সম্মানে ফেরেশতারা নূরের পাখা বিছিয়ে দেয়।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

১ও ২ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَطْلُبُ فِيهِ عِلْمًا سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا مِنْ طُرُقِ الْجَنَّةِ، وَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ، وَإِنَّ الْعَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ، وَمَنْ فِي الْأَرْضِ، وَالْحِيتَانُ فِي جَوْفِ الْمَاءِ، وَإِنَّ فَضْلَ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ، كَفَضْلِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ، وَإِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ، وَإِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا، وَلَا دِرْهَمًا وَرَّثُوا الْعِلْمَ، فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ হযরত আবু দারদা e বলেন, আমি রাসূল c কে ইরশাদ করতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন হাসি করার উদ্দেশ্যে কোন রাস্তায় চলে আল্লাহ তাআলা এ কারণে তাকে জান্নাতের রাস্তাসমূহ থেকে এক রাস্তায় চালিয়ে দেন। (অর্থাৎ ইলম হাসিল করা তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের কারণ হয়ে যায়) ফেরেশতাগণ তালেবে ইলমের সন্তুষ্টির জন্য আপন পাখা বিছিয়ে দেন। আরেমের জন্য আসমান জমিনের সমস্ত মাখলুক এবং মাছ যা পানিতে রয়েছে সকলেই মাগফিরাতের দুআ করে। নিঃসন্দেহে আবেদের উপর আলেমের ফযীলত এরূপ যেরূপ পূর্ণিমার চাঁদের ফযীলত সমস্ত তারকারাজির উপর। নিঃসন্দেহে উলামায়ে কেরাম আম্বিয়া আলাইহিস সালামের উত্তরাধিকারী। আর আম্বিয়াগণ দিনার ও দিরহাম এর উত্তারাধিকারী বানন না। তারাতো ইলমের উত্তরাধিকারী বানান। অতএব যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন হাসিল করল, সে পরিপূর্ণ অংশ লাভ করল। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৬৪১। মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১২৩১। কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৭৪৬।

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৮ মে, ২২