দীর্ঘমেয়াদী ঋণ থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব ফরজ হয় না

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসহজ্জ২০ এপ্রিল, ২২

প্রশ্ন

আমার পরিচিত এক ভাই হজ করতে চায়। কিন্তু তিনি সম্প্রতি একটি বাড়ী কিনেছেন।

বাড়ী কেনা বাবদ তার অনেক ঋণ আছে। এই ঋণ শোধ করতে তার আগামী ১৩ বছর লাগবে। এই অবস্থায় তার উপর হজ করার হুকুম বর্তাবে কিনা? বিষয়টি সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্ত বহন করে। আমরা অনেকেই ঋণ থাকা অবস্থায় হজ ফরয হয়না বলেই জানি। ইসলামের দৃষ্টিতে এই বিষয়ে আহলে হক বাংলা মিডিয়া সার্ভিস-এ বিস্তারিত লেখা আশা করছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন। আমীন।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

আপনার বক্তব্য অনুপাতে বুঝা যাচ্ছে এটি দীর্ঘমেয়াদী ঋণ। যা প্রতি মাসে বা বাৎসরিক একটি নির্ধারিত পরিমাণ আদায় করতে হয়। হজ্ব কেন ফরজ হয়? বা কার উপর ফরজ হয়? এটি ভাল করে জানা থাকলে আপনি নিজেই নির্ণিত করে নিতে পারবেন উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্ব ফরজ হবে কি না? হজ্ব কার উপর ফরজ হয়? পরিবারের খরচ, বাসা বাড়ির খরচ, এছাড়া প্রয়োজনীয় খরচ ও হজ্বকালীন সময়ে আবশ্যক ঋণ পরিশোধ করার পর যদি ব্যক্তির হাতে এ পরিমাণ অর্থ থাকে, যা দিয়ে হজ্বে গমণ ও ফিরে আসার খরচ হয়ে যাবে, উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্ব আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির হজ্বকালীন সময়ে যতটুকু ঋণ আদায়ে বাধ্য ততটুকু পরিশোধ পরিমান অর্থ থাকার পর যদি পরিবারের খরচ ও অন্যান্য আবশ্যকীয় খরচ ছাড়াও হজ্বে গমণ ও আসার অর্থ বাকি থাকে, তাহলে উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্ব আদায় করা আবশ্যক। একসাথে তের বছরের ঋণকে আলাদা করে হিসেব করবে না। বরং হজ্বকালীন সময়ে যতটুকু ঋণ আদায় করতেই হবে, শুধু এতটুকু ঋণ বাদ দিয়ে হিসেব করবে। আশা করি বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে। (وَمِنْهَا الْقُدْرَةُ عَلَى الزَّادِ وَالرَّاحِلَةِ) بِطَرِيقِ الْمِلْكِ أَوْ الْإِجَارَةِ دُونَ الْإِعَارَةِ وَالْإِبَاحَةِ الخ وَتَفْسِيرُ مِلْكِ الزَّادِ وَالرَّاحِلَةِ أَنْ يَكُونَ لَهُ مَالٌ فَاضِلٌ عَنْ حَاجَتِهِ، وَهُوَ مَا سِوَى مَسْكَنِهِ وَلِبْسِهِ وَخَدَمِهِ، وَأَثَاثِ بَيْتِهِ قَدْرَ مَا يُبَلِّغُهُ إلَى مَكَّةَ ذَاهِبًا وَجَائِيًا رَاكِبًا لَا مَاشِيًا وَسِوَى مَا يَقْضِي بِهِ دُيُونَهُ وَيَمْسِكُ لِنَفَقَةِ عِيَالِهِ، وَمَرَمَّةِ مَسْكَنِهِ وَنَحْوِهِ إلَى وَقْتِ انْصِرَافِهِ كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ وَيُعْتَبَرُ فِي نَفَقَتِهِ وَنَفَقَةِ عِيَالِهِ الْوَسَطُ مِنْ غَيْرِ تَبْذِيرٍ، وَلَا تَقْتِيرٍ كَذَا فِي التَّبْيِينِ وَالْعِيَالُ مَنْ تَلْزَمُهُ نَفَقَتُهُ كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ وَلَا يَتْرُكُ نَفَقَةً لِمَا بَعْدَ إيَابِهِ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ كَذَا فِي التَّبْيِينِ. (الفتاوى الهندية، كِتَابُ الْمَنَاسِكِ، الْبَابُ الْأَوَّلُ فِي تَفْسِيرِ الْحَجِّ، وَفَرْضِيَّتِهِ وَوَقْتِهِ وَشَرَائِطِهِ، وَأَرْكَانِهِ وَوَاجِبَاتِهِ وَسُنَنِهِ وَآدَابِهِ، وَمَحْظُورَاتِهِ)

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২০ এপ্রিল, ২২