দরূদে হাজারী নামে কোন দরূদের কোন অস্তিত্ব আছে কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসমৃত্যু ও আনুষঙ্গিক২ অক্টোবর, ২২

প্রশ্ন

কথিত দুরুদে হাযারী’র বানোয়াট ফযিলত” আমাদের দেশে কবরস্থান গুলোতে লক্ষ্য করলে যে সাইনবোর্ডটি চোখে পড়বে, সেটি হলো “দুরুদে হাযারী” নামক এক বিদাতী দুরুদের বিশাল ফযিলত সম্পর্কিত এক ফর্দ ! সেখানে লেখা আছে, কোন ব্যক্তি এই দুরুদ ৩ বার পড়িলে কবরের ৮০ বছরের আযাব মাফ করে দেওয়া হয় ! আর ২০ বার পড়িলে তার নেকী বাবা-মায়ের কবরে পৌছে দেওয়া হয় এবং তার কবর যিয়ারতের জন্য ১০০০ ফেরেশতা পাঠানো হয় !

অথচ, এই দুরুদের কোন অস্তিত্ব কোন হাদিসের প্রসিদ্ধ বইয়ে তো পাওয়া যায়

-ই না, আর না পাওয়া যায় এর ফযিলত সম্পর্কে কোন কথা ! তাহলে এই দুরুদ কে তৈরি করল? অথচ বুজুর্গ (মুরব্বী) আর পীরের বাতলানো এই দুরুদে মানুষ আমল করেই চলেছে। আমরা হাদিসের বইয়ে যা পাই তা হচ্ছে, আল্লাহর রাসূল c বলেছেনঃ

“তোমরা কবর যিয়ারত করো তাতে মৃত্যুর কথা স্বরন হবে”… র কবরবাসীদের জন্য এই দোয়া মাদের শিখিছেনঃ “ সসালামু লাইকুম ইয়া হলাদ্দিয়ারি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমিন, অইন্না ইনশাল্লাহু বিকুম লালা-হিকুন, নাসালুল্লাহা লানা অলাকুমুল -ফিয়াহ” (মুসলিমঃ২\৬৭১)

তাই আসুন আমরা আল্লাহর রাসূল c এর দেখানো পথে আমাদের সকল আমলগুলো সম্পাদন করি, আর বিদাতী আমল গুলো বাদ দেই। অন্যথায়, রাসূল c বলেছেন:

“যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয় তৈরী করবে যা আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, তা আল্লাহর কাছে প্রত্যাখ্যাত হবে” (সাহীহ বুখারী ও মুসলিম) প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি জানাবেন, ভাইয়া!ব্যাপক সন্দেহে আছি! আমার এক কলিগের(পাচ ওয়াক্ত নামাজী) আব্বা ইন্তেকাল করার পর থেকে উনি এই দুরুদে হাযারী পাঠ ৩বার করেন কবর যিয়ারতের পর। এখন এই ব্যাপারে কি করনীয়? আর, বিশুদ্ধভাবে কবর যিয়ারত করা বা মৃত বাবা-মায়ের জন্য দু’আ করার পদ্ধতি জানাবেন(যদি সময় থাকে) যাতে মৃত বাবা-মা উপকৃত হন।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

দরূদে হাজারী নামক দরূদের অস্তিত্ব আমরা কুরআন ও হাদীসের কোথাও খুঁজে পাইনি। যারা এসব ফযীলত নির্ভর এ দরূদের কথা বলে থাকেন, তাদের বলুন এ দরূদের প্রমাণ পেশ করতে। কোন কিতাবে কি শব্দে উক্ত দরূদের এসব ফযীলত বর্ণিত হয়েছে? তা আমাদের কাছে প্রেরণ করতে বলুন। তাহলে আমাদের যাচাই করে দেখা সহজ হবে যে, এটির আসলে কোন অস্তিত্ব আছে কি না? কোন প্রমাণ ছাড়াই এসব ফযীলত বিশ্বাস করা কিছুতেই উচিত হবে না।

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২ অক্টোবর, ২২