দরূদ শরীফ কি রাসূল c এর জমানায় ছিল?

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসসিরাত ও ইতিহাস৬ এপ্রিল, ২১

প্রশ্ন

আমার প্রশ্ন হল হুজুরে পাক c এর জমানায় কি দুরূদ শরীফ ছিলো?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

কেন থাকবে না? রাসূল c এর উপর দরূদ পড়ার নির্দেশসূচক আয়াততো নবীজী c এর উপরই নাজিল হয়েছিল। সাহাবীদের সামনেই নাজিল হয়েছিল। তাহলে আল্লাহর নির্দেশতো প্রথম সাহাবায়ে কেরামই আমল করে দেখিয়েছেন। আর সাহাবাদের মত নবীকে এত ভাল আর কেউ কিয়ামত পর্যন্ত বাসতেই পারে না। সেখানে সাহাবাগণ কি রাসূল c এর উপর দরূদ পড়বেন না? আর হাদীসের মাধ্যমেতো পরিস্কার যে, দরূদে ইবরাহীমী যেখানে রাসূল c এর উপর দরূদ পাঠ করা হয়। যা খোদ আমাদের প্রিয় নবীজী c নামাযেও পড়েছেন, আবার সমস্ত সাহাবায়ে কেরামও পড়েছেন। যা নবীজী c এর জমানায় দরূদ পড়ার প্রকিষ্ট প্রমাণ বহন করে। إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا • আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। -সূরা আহযাব, ৫৬

قَالَ عَبْدُ اللَّه: كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْنَ: السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ، فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَال: إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ، فَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ، فَلْيَقُل: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتُمُوهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

“হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ e বলেনঃ আমরা যখন নবীজী c এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম “আসসালামু আলা জিবরীল ওয়া মিকাঈল এবং আসসালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান”। তখন রাসূল c আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আল্লাহ তাআলা নিজেইতো সালাম। তাই যখন তোমরা কেউ সালাত আদায় করবে,তখন সে যেন বলে, আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত তায়্যিবাতু আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু, আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহীন। কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও জমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার কাছে পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গে আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ৮৩১
  • সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৪০২

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ৬ এপ্রিল, ২১