তিওয়ালে মুফাসসাল, আওসাতে মুফাসসাল ও কিসারে মুফাসসাল এবং নামাজে কিরাতের ধারাবাহিকতা

মাসিক আল কাউসারনামায২৫ মার্চ, ২১

প্রশ্ন

তিওয়ালে মুফাসসাল, আওসাতে মুফাসসাল ও কিসারে মুফাসসাল দ্বারা কি কিরাতের পরিমাণ বোঝানো হয়েছে নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে এই সূরাগুলি পাঠ করা সুন্নত বোঝানো হয়েছে। একজন মুফতী সাহেব বলেছেন, এই সূরাগুলি পাঠ করা সুন্নত, একথা বোঝানো হয়নি; বরং কিরাতের পরিমাণ বোঝানো হয়েছে।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ফজর ও যোহর নামাযে তিওয়ালে মুফাসসাল (অর্থাৎ সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত), আছর ও ইশাতে আওসাতে মুফাসসাল (অর্থাৎ সূরা বুরুজ থেকে সূরা লাম ইয়াকুন পর্যন্ত), আর মাগরিবে কিসারে মুফাসসাল (অর্থাৎ সূরা লাম ইয়াকুন থেকে সূরা নাস পর্যন্ত) অংশ থেকে পড়া সুন্নত। মাসনুন কেরাত বলতে মুফাসসালাতের নির্ধারিত এই সূরাসমূহ এবং এর পরিমাণ দুটোই উদ্দেশ্য। তাই মাসনুন কেরাত অনুসরণ করতে হলে অধিকাংশ সময় মুফাসসালাতের সূরাগুলো থেকে পূর্ণ সূরা পড়া উচিত। তবে কখনো ঐ পরিমাণকে ঠিক রেখে কুরআন মজীদের অন্য স্থান থেকে কিরাত পড়লেও তা অনুত্তম বা সুন্নত পরিপন্থী বলা যাবে না। কারণ রাসূলে কারীম c এবং সাহাবায়ে কেরাম থেকেও মাঝে মধ্যে মুফাসসালাতের বাইরে থেকে পড়া প্রমাণিত আছে। তবে অধিকাংশ সময় মুফাসসালাত থেকেই পড়া সুন্নত। সুতরাং মুফাসসালাত বলতে শুধু পরিমাণ বোঝানা হয়েছে, নির্দিষ্ট সূরা থেকে পড়া বোঝানো হয়নি-প্রশ্নের এ কথা ঠিক নয়। এছাড়া মুফাসসালাতের সূরা ও পরিমাণ কোনোটি ঠিক না রেখে কিরাত পড়লে সে নামাযও আদায় হয়ে যাবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • জামে তিরমিযী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪১
  • ইলাউস সুনান, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩২
  • রদ্দুল মুহতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৪০
  • আসসিআয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৮৬

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৫ মার্চ, ২১