তা’বীয ব্যবহার করা

ইসলামী জিন্দেগীবিবিধ২৩ ফেব, ২১

প্রশ্ন

তা’বীয ব্যবহার করা শিরক কি-না? শরী‘আতের দৃষ্টিতে এর হুকুম কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই সমস্ত কিছু করতে পারেন। তিনি দান করেন এবং তিনিই রোগ থেকে মুক্তি দান করেন। অন্তরে এ বিশ্বাস রেখে শুধুমাত্র অসীলা স্বরূপ শরী‘আত সম্মত তা’বীয ব্যবহার করতে পারে। এতে কোন রকম শিরক হবে না। তা’বীয, ঝাড়-ফুঁক এইটা শুধু এ যামানায় নতুন নয়, বরং আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম- এর যামানায় ছিল। তিনি ঝাড়-ফুঁক করেছেন। সাহাবাগণ থেকেও তা’বীয ব্যবহার প্রমাণিত আছে। তবে কেউ যদি তা’বীয সম্পর্কে এই ধারনা পোষন করে যে, তা’বীযের মধ্যে ক্ষমতা আছে। তা’বীয বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে পারে, তা’বীয ব্যবহার না করলে বা খুলে রাখলে বিরাট বিপদ হতে পারে, এ ধরণের বিশ্বাস নিয়ে তা’বীয ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শিরক হবে। ইলম বিহীন (অজ্ঞ) লোকেরা সাধারণতঃ এ ধরনের ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়ে তা’বীয ব্যবহার করে থাকে। এটাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা চাই।

সহীহ আকীদার তা’লীম দিয়ে মুসলমানদের ঈমান-আকীদা রক্ষার যিম্মাদারী উলামায়ে কিরামদের উপর। আজকাল বেশ কিছু নামধারী আলেমগণ মুসলমানদের ঈমান-আকীদা যতটুকু অবশিষ্ট ছিল তাও নিজের দুনিয়াবী স্বার্থে বরবাদ করছে। এ জন্য সাধারণ মুসলমানদের জন্য হক্কানী উলামাদের সাথে জুড়ে থাকা ছাড়া তাদের ঈমান রক্ষার দ্বিতীয় কোন পথ নেই।

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ ফেব, ২১