ডলারের ব্যবসা করার হুকুম কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসবাবসা বানিজ্য১৭ মে, ২১

প্রশ্ন

আমি ডলার কিনলাম যখন ডলারের দাম কম এবং কিছু দিন পরে যখন ডলারের দাম বেড়ে যায় তখন আমি তা বিক্রি করে দেয়। এই যে ডলার কেনা আর বিক্রি করার এই ব্যবসা কি ইসলামের দিক থেকে হালাল না হারাম?

বিঃদ্রঃ এই সব কারেন্সি এর দাম বারে অথবা কমে যে সব বিষয়ের উপর তা হল একটা দেশের সার্বিক উন্নয়ন, সুদ, মুদ্রাস্ফিতি, কি পরিমাণ স্বর্ণ জমা আছে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ইত্যাদি ইত্যাদি।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

কারেন্সি ব্যবসা কি জায়েজ? এক্ষেত্রে বিষয় হল ২টি। যথা-

১. এক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে আরেক দেশের কারেন্সি কমবেশি করে ক্রয় বিক্রয় বৈধ কি না?

২. একই দেশের কারেন্সি কমবেশি করে ক্রয় বিক্রয় করা জায়েজ কি না?

ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না।

যেমন ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশী টাকা বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে যিনি ডলার কিনল তিনি ক্রয় বিক্রয়ের মজলিসেই ডলার হস্তগত করে নিবে। বা যিনি টাকা কিনল তিনি উক্ত মজলিসেই টাকা হস্তগত করে নিবে। যদি উভয়েই তাদের ক্রয়কৃত কারেন্সি হস্তগত করে নেয়, তাহলেতো উত্তম। কিন্তু কমপক্ষে একজনও হস্তগত করা শর্ত। আর যদি দুইজনের কেউই হস্তগত না করে, বরং পুরোটাই বাকিতে থাকে, তাহলে উক্ত ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হয় না।

এক দেশের কারেন্সির পরস্পর লেনদেন একই দেশের কারেন্সির পরস্পর লেনদেনের সময় সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। কমবেশি করে বিক্রি করলে উক্ত ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হবে না। যেমন আমেরিকান ডলারের বিনিময়ে যদি আমেরিকান ডলারই বিক্রি করে, তাহলে কমবেশি করে বিক্রি করলে তা জায়েজ হবে না। সমান সমান হলে জায়েজ হবে। অর্থাৎ দশ ডলারের বিনিময়ে দশ ডলারই বিক্রি লেনদেন করতে পারবে। এর চেয়ে কমবেশিতে ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হবে না।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • هداية, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৮৫
  • مستدرك على الصحيحين, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬৫
  • شرح معانى الآثار, হাদীস নং: ৫,৫৫৪
  • سنن الدرقطنى, হাদীস নং: ৩,০৬০

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৭ মে, ২১