জুমআতুল বিদা নামে আলাদা কোন দিনের ফযীলত আছে কি

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসনামায১২ জানু, ২২

প্রশ্ন

জুমআতুল বিদা বলতে শরীয়তসম্মত কিছু কি আছে? হাদীস ও আছারের দলিল এবং এর তাহকীক দিয়ে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

রমজান মাস অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসের শেষ দশকের গুরুত্ব আরো বেশী। শুক্রবার হিসেবে সেই দিনের গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। সব মিলে রমজানের এই শেষ জুমুআর দিনটি খ্বুই তাৎপর্যপূর্ণ। এর চেয়ে বেশী ফযিলত কুরআন –হাদীস সমর্থিত নয়। সুতরাং এ দিনকে কেন্দ্র করে নতুন কোন রুসম-রেওয়াজ বা বাঙতি ফযিলত সাব্যস্ত করা ঠিক নয় হাদীসে রমজানের শেষ দশক ও শুধু শুক্রবারের ব্যাপারে বর্ণিত ফযীলত নিম্নরূপ –

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «خير يوم طلعت فيه الشمس يوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه أهبط، وفيه تيب عليه، وفيه مات، وفيه تقوم الساعة، وما من دابة إلا وهي مسيخة يوم الجمعة، من حين تصبح حتى تطلع الشمس شفقا من الساعة، إلا الجن والإنس، وفيه ساعة لا يصادفها عبد مسلم وهو (ص:٢٧٥) يصلي يسأل الله حاجة، إلا أعطاه إياها» • হযরত বু হু হতে বর্ণিত, সুলুল্লাহ c বলেন, যে সকল দিবসে সূর্য উদিত হয় তার মাঝে উত্তম দিবস হচ্ছে জুমা’,সে দিন দম কে সৃষ্টি ক হয়েছে। -সুনানে আবু দাউদ -১০৪৬, ১/১৪৯-১৫০

عن أوس بن أوس، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إن من أفضل أيامكم يوم الجمعة، فيه خلق آدم، وفيه قبض، وفيه النفخة، وفيه الصعقة، فأكثروا علي من الصلاة فيه، فإن صلاتكم معروضة علي» قال: قالوا: يا رسول الله، وكيف تعرض صلاتنا عليك وقد أرمت – يقولون: بليت -؟ فقال: «إن الله عز وجل حرم على الأرض أجساد الأنبياء» • হযরত উস বিন উস হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ c বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের দিবস সমূহের মাঝে উত্তম দিবস জমা’র দিন। সে দিন দম কে সৃষ্টি করা হয়েছে। -সুনানে আবু দাউদ -১০৪৭, ১/১৫০

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ» • হযরত আবু হু হতে বর্ণিত, সুলুল্লাহ c বলেন,যখন রমজান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের বেঁধে খা হয়। -মুসলিম ১/৩৪৬, হাদীস নং ১০৭৯

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُبَشِّرُ أَصْحَابَهُ: «قَدْ جَاءَكُمْ رَمَضَانُ، شَهْرٌ مُبَارَكٌ، افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ صِيَامُهُ، تُفْتَحُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، أَوْ تُغْلَقُ فِيهِ أَبْوَابُ الْجَحِيمِ، وَتُغَلُّ فِيهِ الشَّيَاطِينُ، فِيهِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَ خَيْرَهَا فَقَدْ حُرِمَ» • হযরত আবু হুরায়রা e হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ c বলেন,যখন তোমাদের মাঝে রমজান আসে, যা অত্যান্ত মুবারক মাস। তখন তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়। জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান দের আটকে রাখা হয়। এ মাসের মাঝে রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার রাত হতে উত্তম, যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে পুরই বঞ্চিত হলো। -মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, ৮৮৬৭

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ» • হযরত আয়শা হতে বর্ণিত, সুলুল্লাহ c বলতেন,তোম রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ কর। -মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, ৮৬৬০

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১২ জানু, ২২