জিলহজ্জ মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল

ফতোয়া আর্কাইভকুরবানী ও আকিকা১৮ জুন, ২৩

প্রশ্ন

জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে চুল,নখ শরীরের যাবতীয় পশম কাটার বিধান কি

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

হযরত উম্মে সালামা e হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ c বলেছেন-

إذا رأيتم هلال ذي الحجة وأراد أحدكم أن يضحي فليمسك عن شعره وأظفاره.

তোমরা যদি যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে তবে সে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৯৭৭; জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৫২৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৭৯১; সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৪৩৬২; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৫৮৯৭

এটি মুস্তাহাব আমল।

যে ব্যক্তি কুরবানী করতে সক্ষম নয় সেও এ আমল পালন করবে। অর্থাৎ নিজের চুল, নখ, গোঁফ ইত্যাদি কাটবে না; বরং তা কুরবানীর দিন কাটবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর e হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ c ইরশাদ করেছেন-

أمرت بيوم الأضحى جعله الله عيدا لهذه الأمة. قال له رجل :يا رسول الله! أرأيت إن لم أجد إلا منيحة أنثى أفأضحي بها؟ قال : لا، ولكن خذ من شعرك وأظفارك وتقص شاربك وتحلق عانتك، فذلك تمام أضحيتك.

আমি কুরবানীর দিন সম্পর্কে আদিষ্ট হয়েছি (অর্থাৎ এ দিবসে কুরবানী করার আদেশ করা হয়েছে।) আল্লাহ তাআলা তা এ উম্মতের জন্য ঈদ হিসাবে নির্ধারণ করেছে। এক ব্যক্তি আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমার কাছে শুধু একটি মানীহা থাকে অর্থাৎ যা শুধু দুধপানের জন্য দেওয়া হয়েছে? আল্লাহর রাসূল c বললেন, না; বরং সেদিন তুমি তোমার চুল কাটবে (মুন্ডাবে বা ছোট করবে), নখ কাটবে, মোচ এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে।

এটাই আল্লাহর কাছে তোমার পূর্ণ কুরবানী বলে গণ্য হবে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৫৭৫; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৭৭৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৭৮৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৪৩৬৫

অর্থাৎ যারা কুরবানী করতে সক্ষম নয় তারাও যেন এ মহান সাওয়াব থেকে বঞ্চিত না হয় তাই আল্লাহ তায়ালা কত সুন্দর ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন। তারা এগুলো কর্তন করেও পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে।অনুরূপভাবে হাজীদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী হবে। আর যার সাথে যার সাদৃশ্য হবে তার সাথে তার হাশর হবে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমলটি করার তাওফিক দান করুন। আমিন

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৮ জুন, ২৩