আমার আব্বা আমার ফুফা থেকে বিশ ডিসিম জমি ক্রয় করেছিলেন। তবে তা রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। নিকটাত্মীয় ও বিশ্বস্ত মনে করে টাকা দিয়েছেন এবং এর সাক্ষীও রয়েছে অনেক। জমিটি প্রায় ১৫ বছর ধরে আব্বার দখলে আছে। কিন্তু পরে ফুফা তা বিক্রির কথা অস্বীকার করেন। আর টাকা নেয়ার কথাও অস্বীকার করেন। কিছুদিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর ওয়ারিশগণ কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। তার জানাযায় এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলে যে, অমুক ব্যক্তির (আমার পিতা) নিকট মৃত ব্যক্তি কিছু জমি পাবে বলে আমাকে ওসিয়ত করে গেছে। সন্তানদেরকে তা নেয়ার জন্য বলে। ফলে তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদ সৃষ্টি হয়। এখন আমার প্রশ্ন, শরীয়তের দৃষ্টিতে তার সঠিক সমাধান কী? দয়া করে তা অবগত করলে কৃতজ্ঞ হব।
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
বাস্তবেই যদি আপনার আব্বা ফুফা থেকে ঐ জমিটি ক্রয় করে থাকেন এবং সমুদয় মূল্যও পরিশোধ করে থাকেন তবে ঐ জমি আপনার আব্বারই। আপনার ফুফার এবং পরবর্তীতে তার ওয়ারিশদের এই জমি নিজেদের বলে দাবি করা মারাত্মক অন্যায়। তাদের কর্তব্য হল ঐ জমি আপনার আব্বার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া। প্রকাশ থাকে যে, সকল লেনদেন নিয়মমতো করা জরুরি। লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা এবং আস্থা থাকলেও প্রয়োজনীয় দলীল করে নেওয়া এবং লিখিত প্রমাণাদি রাখা জরুরি। এটা শরীয়তেরও হুকুম। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এই হুকুম লঙ্ঘন করার কারণে বিবাদ হচ্ছে।
- والله اعلم باالصواب -