গর্হিত আকিদা পোষণকারীর পিছণে ইক্তিদা

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

একজন ইমাম সাহেবের যদি নিম্নবর্ণিত দোষগুলো তাকে, তাহলে তার পিছনে নামায পড়া শরী‘আতের দৃষ্টিতে কেমন?  দোষগুলো হলঃ (১) হুযূর c সদা সর্বদা হাযির-নাযির আছেন এ বিশ্বাস রাখে ও প্রচার করে। (২) হুযূর c নূরের সৃষ্টি একথা বিশ্বাস রাখে ও বলে। (৩) তাবলীগ জামা‘আতের বিরোধিতা করে। (৪) নারীদেরকে ভোট দেয়া জায়িয বলে।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

আপনাদের বর্ণনা মতে, উল্লেখিত আকীদা পোষণকারী ব্যক্তি নিঃসন্দেহে গোমরাহ, ফাসিক ও বিদ‘আতী। আর ফাসিক ও বিদ‘আতী ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমী। ফাসিককে ইমাম পদে নিয়োগ করা বা বহাল রাখা জায়িয নয়। তবে যদি কোন ইমাম কুফরী আকীদা রাখে, যেমন যিনি মুহাম্মদ c প্রকৃতপক্ষে তিনিই আল্লাহ তাহলে উক্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া জায়িয হবে না। এমন ধরনের ব্যক্তির পিছনে কখনোও নামায পড়ে থাকলে তা পুনরায় দুহরিয়ে পড়তে হবে। [প্রমাণঃ আদদুররুল মুখতার ১ঃ৪২৩ পৃঃ # ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ২ঃ৭৩ # দারুল উলূম ৩ঃ১৭০, ২৪৫-২৮০]

নবী করীম c কে সরাসরি আলিমুল গাইব ও হাযির-নাযির মনে করা এবং তাঁকে আল্লাহ তা‘আলার জাতি নূরের অংশ মনে করা কুফরী আকীদার শামিল। সুতরাং এ ধরনের আকীদা পোষণকারী ব্যক্তির পিছনে নামায না পড়ে অন্য কোন মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে হবে। যেখানে জুমু‘আ ফরয, সেখানে অন্য মসজিদ অনেক দূরে হলেও সেখানে গিয়ে জুমু‘আর নামায আদায় করতে হবে। যদি কোন দিন বিশেষ কোন কারণে দূরের মসজিদে গিয়ে জুমু‘আর নামায আদায় সম্ভব না হয়, তাহলে একা একা যুহরের নামায আদায় করে নিবে। তবুও কুফরী আকীদা ওয়ালা ইমামের পিছনে ইকতিদা করবে না।

তাবলীগী জামা‘আত নিঃসন্দেহে হাক্কানী জামা‘আত। তাদের বিরোধিতা করা অন্যায়। আর মহিলা নেতৃত্ব ইসলাম স্বীকার করে না। তবে ক্ষেত্র বিশেষে তাদেরকে ভোট দেয়া যেতে পারে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • কিফায়াতুল মুফতী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৬৪
  • ফাতাওয়া আব্দুল হাই, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৫

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১