কর্মস্থলের অস্থায়ী আবাসস্থলে কসর বা পূর্ণ নামায আদায়ের হুকুম

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

মসজিদের অনেক ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক বা অনেক চাকুরীজীবী এমন আছেন, যারা প্রয়োজনীয় সামান-পত্র নিয়ে চাকুরীস্থলের সন্নিকটে কোথাও অবস্থান করেন। সেখান থেকে সময়মত কর্মস্থলের দায়িত্ব পালন করেন। তাদের পরিবার- পরিজন দেশের বাড়ীতে বা দূরে কোথাও থাকে। এমতাবস্থায় উক্ত ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও চাকুরীজীবীগণের চাকুরীর স্থানকে কোন ধরণের ওয়াতন ধরা হবে? তাছাড়া উক্ত স্থান হতে দ্বীনী, অফিসিয়াল বা ব্যক্তিগত কোন প্রয়োজনে তারা অনেক সময় ৪৮ মাইল বা তার চেয়ে বেশী দূরে সফরে বা স্থায়ী বাড়ীতে যান। এমতাবস্থায় যখত তারা উক্ত অবস্থান স্থলে ফিরে আসেন, তখন পূর্ণ নামায পড়তে হবে? না কি তাদের পুনরায় ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত করতে হবে? নাকি দু’চার দিন (অর্থাত ১৫ দিনের কম) থাকার নিয়্যত থাকলেও তাদের পূর্ণ নামায পড়তে হবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

যখন তারা কর্মস্থলের সন্নিকটস্থ জায়গায় প্রয়োজনীয় সামানপত্র সহ একবার ১৫ দিন বা অধিক দিন অবস্থান করার নিয়্যত করে নেয়, তখন থেকে উক্ত স্থান তাদের জন্য ওয়াতনে ইকামাত হিসেবে গণ্য হবে এবং সেখানে তারা পূর্ণ নামায পড়বেন। কসর পড়া তাদের জন্য জায়িয হবে না। প্রয়োজনীয় সামান নিজ দায়িত্বে সেখানে রেখে সেখান থেকে ৪৮ মাইল দূরে সফরে গেলেও তাদের এ ওয়াতনে ইকামাত বাতিল হবে না। সুতরাং উক্ত স্থানে ফিরে আসার পর পূর্ণ নামায পড়ার জন্য ১৫ বা তার অধিক দিন অবস্থানের নিয়্যত করার প্রয়োজন নেই। তবে কোন সময় যদি সমস্ত সামানাপত্রসহ উক্ত স্থান ত্যাগ করেন, যার দ্বারা বুঝা যায় যে, এই শহর বা গ্রামে তার আর থাকার ইচ্ছা নাই, সেক্ষেত্রে তার এ ওয়াতনে ইকামাত বাতিল গণ্য হবে এবং আবারো কোন সময় এ স্থানে আসলে মুকীম হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১৫ দিন থাকার নিয়্যতে অবস্থান করা জরুরী হবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৯৭
  • ফাতাওয়া আলমগীরী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪২
  • আল-মুহীত, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪৮

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১