কবরস্থানের জন্য ওয়কফকৃত স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা

মাসিক আল কাউসারমসজিদ-মাদ্রাসার বিধান১৫ মার্চ, ২১

প্রশ্ন

আজ থেকে বহু বছর আগের কথা। আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি কবরস্তানের জন্য এক বিঘা জমি ওয়াকফ করেন। বর্তমানে তিনি বেঁচে নেই। কিন্তু এলাকার কিছু লোক কবরস্তানের জন্য ওয়াকফকৃত এক বিঘা জমি থেকে একটি অংশ কবরস্তানের জন্য রেখে অবশিষ্ট জায়গায় একটি মসজিদ ও ঈদগাহ নির্মাণ করে সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও ঈদের নামায পড়ে আসছে। আমার জানার বিষয় এই যে, ওয়াকফকারী তো এই এক বিঘা জমি কবরস্তানের জন্য ওয়াকফ করেছেন। এই জায়গায় মসজিদ ও ঈদগাহ তৈরি করা জায়েয হয়েছে কি? এবং যারা এতদিন সেখানে নামায পড়ে আসছেন তাদের নামাযের কী হুকুম? জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ওয়াকফকারী যেহেতু উক্ত এক বিঘা জমি কবরস্তানের জন্যই ওয়াকফ করেছেন তাই ঐ জমি কবরস্তান হিসাবে রাখা জরুরি। ঐ জমিতে মসজিদ বা ঈদগাহ বানানো জায়েয হয়নি। তাই বর্তমান যে জায়গায় মসজিদ ও ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে তা খালি করে দিতে হবে। তবে এতদিন যারা ঐ জমিতে নামায পড়ে এসেছেন তাদের নামায আদায় হয়ে গেছে। ঐ নামাযগুলো পুনরায় পড়তে হবে না।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আলবাহরুর রায়েক, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৪৫
  • ফাতহুল কাদীর, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৪০
  • তানকীহুল হামিদিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১২৬
  • আলআশবাহ ওয়াননাযাইর, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২২৮
  • আদ্দুররুল মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৩৩

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৫ মার্চ, ২১