এক মাযহাবের লোকের জন্য অন্য মাযহাবের লোকদের ইমামতী

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

হানাফী মাযহাবের কোন লোক যদি অন্য মাযহাবের লোকদের ইমামতী করে এবং উক্ত মাযহাবের অনুসরণ করে যেমন, رفع يدين (হাত উঠানো) আওয়ায করে আমীন বলা ইত্যাদি, এমতাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির জন্য ইমামতী করা সহীহ হবে কি-না ? অথবা হাত না উঠিয়ে হাত উঠানোর ভান করা যেমন, রুমালকে দুই হাত দিয়ে ঝাকি মারা, যাতে করে অন্য মাযহাবের মুক্তাদিরা বুঝতে পারে যে, رفع يدين করেছে। তাহলে এভাবে ইমামতী করা জায়িয হবে কি-না ? এবং উক্ত কাজটি ধোকার মধ্যে গণ্য হবে কি-না?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

এক মাযহাবের অনুসারীগণ অন্য মাযহাবের অনুসারী লোকদের ইমামতী করতে পারে। উদাহরণতঃ হানাফী মাযহাবের কোন লোক শাফিয়ীদের ইমাম হতে পারে। অনুরূপ শাফিয়ী মাযহাবের লোক হানাফীদের ইমাম হতে পারে। ইমাম সাহেব তার মাযহাব অনুযায়ী নামায পড়াবেন। ইমামের জন্য মুক্তাদীর মাযহাবের দিকে লক্ষ্য করার কোন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এরূপ করার অনুমতিও নেই। তবে দু’চারটা পয়সার জন্য মুক্তাদীদের সন্তুষ্টিকল্পে এরূপ করা অর্থাৎ নামাযে রুমাল ঝাকি দেয়া নিঃসন্দেহে ধোকাবাজী ও গোনাহের কাজ। এর দ্বারা নামাযেরও ক্ষতি হয়।

ইমাম ও মুক্তাদী নিজ নিজ মাযহাব অনুযায়ী নামায আদায় করবেন। এতে শরী‘আতের দৃষ্টিতে কোনরূপ অসুবিধা নেই। এ শর্ত মেনে যারা ইমাম রাখেন তাদের ইমামতী করবে। নতুবা নিজের সহীহ মাযহাব বদল করে বা ধোকাবাজী করে ইমামতী করবে না।

উল্লেখ্য যে, কোন মাযহাব অনুযায়ী কোন বিষয় যদি উযু ভঙ্গের কারণের মধ্যে পড়ে, কিন্তু অন্য মাযহাব অনুযায়ী পড়ে না, সেক্ষেত্রে ইমাম সাহেব থেকে এ ধরনের কোন কিছু পাওয়া গেলে অন্য মাযহাবের অনুসারী মুক্তাদীদের নামায দোহরানো কর্তব্য।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • শামী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৬৩
  • আহসানুল ফাতাওয়া, পৃষ্ঠা:
  • দারুল উলূম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৯৪

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১