এই মেসেজটি ১০ জনকে সেন্ড করলে খুশির সংবাদ আসবে!

আহলে হ্বক বাংলা মিডিয়া সার্ভিসবিবিধ১৭ মে, ২১

প্রশ্ন

কিছুদিন ধরে মোবাইলে কিছু মেসেজ আসছে। মেসেজ গুলোর ধরন এমনঃ

“মদিনা শরীফে ১ লাখ হাজী স্বপ্নে দেখেছেন হযরত মুহাম্মদ বলেছেন, আমার উম্মতদের বলে দিও, তারা যেন কোরআন তেলাওয়াত করে এবং নামাজের তাগিদ দেয়। এই sms টি যারা ২০ জন কে দিবে তারা ৯ দিনের মধ্যে খুশির সংবাদ পাব। আর না দিলে ১৫ বছরেও কোন খুশির সংবাদ পাবেনা। এটা সত্য।”

আমার বন্ধুরা sms টির প্রতি উৎসাহিত হয়ে সবাইকে send করছে।

আমার প্রশ্ন হছে এরুপ sms কি প্রচার করা যাবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ইসলামী শরীয়তের মুলনীতি হল, কোন বিষয় সম্পর্কে পরিস্কারভাবে না জেনে তা প্রচার করা ব্যক্তি মিথ্যুক হবার জন্য এরকম কাজই যথেষ্ট। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ • মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। -সূরা হুজুরাত-৬

তাই কোন কিছু শুনতেই তা প্রচার করা জায়েজ নেই। এসব কথা আমরা সেই ছোটকাল থেকেই শুনে আসছি। এসবের কোন সত্যিকার প্রমাণ এখনো কেউ পায়নি। এক লাখ লোক হাজি স্বপ্নে দেখলে এটি সে দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে লিড নিউজ হতো। এর কোন প্রমান আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। তাই এসব বিষয় সুনিশ্চিতভাবে এর প্রমাণ না জেনে প্রচার করা নাজায়েজ।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ» • হযরত আবূ হুরায়রা e থেকে বর্ণিত। রাসূল c ইরশাদ করেন, যা শুনে তা’ই বলতে থাকা কোন ব্যক্তি মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৫৬১৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯৯২)

কিন্তু কথাগুলো যেহেতু ভাল কথা। দ্বীন প্রচারের কথা। তাই শুরুর মিথ্যা কথাগুলো না বাড়িয়ে এমনিতে মানুষকে দাওয়াত দেয়া যেতে পারে এভাবে, কুরআন পড়ুন, সুন্নতী জীবন গড়ুন, আখেরাতকে সুন্দর করুন। কিন্তু আগে পিছে মিথ্যা জোড়ে দিয়ে সংবাদ পৌছানো জায়েজ নয়।

- والله اعلم باالصواب -

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ১৭ মে, ২১