ঈদের নামাযে মাসবূক হলে

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৩ ফেব, ২১

প্রশ্ন

যদি কেউ ঈদের নামাযে মাসবূক হয়, তাহলে সে কেমন করে ছুটে যাওয়া নামায আদায় করবে?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ক. যদি কেউ প্রথম রাকা‘আতের অতিরিক্ত তাকবীরের পর ইমামের ইকতিদা করে, তাহলে সে প্রথমে তাকবীরে তাহরীমা বলে অতিরিক্ত তাকবীর তিনটি বলবে। যদিও ইমাম কিরা‘আত আরম্ভ করে দিয়ে থাকে।

খ. আর যদি কেউ ইমামকে প্রথম রাকা‘আতের রুকূ অবস্থায় পায়, তাহলে সে ব্যক্তি তাকবীরে তাহরীমার পরে অতিরিক্ত তাকবীর বলে রুকূতে যাবে। আর যদি তার আশংকা থাকে যে, অতিরিক্ত তাকবীর বলতে গেলে ইমামকে রুকূ অবস্থায় পাবে না, তাহলে সে প্রথমে রুকূতে যাবে। রুকূতে থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত তাকবীরগুলো হাত উঠানো ব্যতীত আদায় করবে। আর যদি তাকবীরগুলো শেষ করার পূর্বেই ইমাম রুকূ থেকে উঠে যায়, তাহলে অবশিষ্ট তাকবীরগুলো তার জন্য মাফ হয়ে যাবে।

গ. আর যদি সে দ্বিতীয় রাকা‘আতে শরীক হয়ে দ্বিতীয় রাকা‘আতের অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলতে পারে, তাহলে সে ইমামের দুই দিকে সালাম ফিরানোর পর উঠে দাঁড়াবে এবং কিরা‘আত শেষ করে রুকূতে যাবে। কারণ, এটা তার দ্বিতীয় রাকা‘আত আর ইমামের সঙ্গে যে রাকা‘আত পড়েছে ,তা প্রথম রাকা‘আত গণ্য হবে।

ঘ. আর যদি কেউ ইমামের দ্বিতীয় রাকা‘আতের রুকূতে শরীক হয়, তাহলে প্রথম রাকা‘আতের রুকূতে মাসবূক হলে, যেভাবে নামায আদায় করে, সে ভাবেই নামায আদায় করবে। অর্থাৎ রুকূতে যাওয়ার পূর্বে তাকবীরগুলো বলে তারপর রুকূতে যাবে। আর যদি তাতে রুকূ না পাওয়ার আশংকা হয়, তাহলে রুকূর মধ্যে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো আদায় করে নিবে। আর যদি শেষ করার পূর্বেই ইমাম রুকূ থেকে উঠে যায়, তবে বাকী তাকবীর মাফ হয়ে যাবে। আর যদি কেউ ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকা‘আতের রুকূ শেষ হওয়ার পর সালামের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে শরীক হয়, তাহলে ইমামের সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে যাবে এবং ইমামের সাথে যেভাবে নামায আদায় করা হয় ঠিক সেভাবেই পূর্ণ নামাম আদায় করবে। অর্থাৎ প্রথমে সানা পড়বে, তারপর অতিরিক্ত তাকবীর আদায় করে কিরা‘আত পড়ে প্রথম রাকা‘আত শেষ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় রাকা‘আতের পূর্বে অতিরিক্ত তাকবীর আদায় করবে। তারপর রুকূর তাকবীর বলে রুকূতে যাবে এবং নিয়মিত ভাবে নামায শেষ করবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • খুলসাতুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২১৫
  • আদ-দুররুল মুখতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬১৬
  • ফাতাওয়া সুলতানিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৮২
  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪৩

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ ফেব, ২১