ইহরাম অবস্থায় কি জাঙ্গিয়া পড়া যাবে

মাসিক আল কাউসারহজ্জ৬ জানু, ২১

প্রশ্ন

আমি পবিত্র হজ্ব পালন করেছি। ইহরাম অবস্থায় সতরের সতর্কতার জন্য জাঙ্গিয়া (আন্ডারপ্যান্ট/আন্ডারওয়্যার) পরি। তামাত্তু হজ্বের উমরা ও হজ্ব উভয়টি আদায়কালে আমি এটি পরিধান করে ছিলাম। পরবর্তীতে আলেমদের কাছে শুনেছি যে, ইহরাম অবস্থায় এগুলো পরা নিষেধ। এখন আমার কি করণীয়? জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

হাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য শরীরের অঙ্গের আকৃতি অনুযায়ী তৈরিকৃত বা সেলাইকৃত পোশাক পরা নিষেধ। সে হিসাবে জাঙ্গিয়াও পরা নিষেধ। কেউ একসাথে ১২ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় এ ধরনের পোশাক পরে থাকলে তার উপর জরিমানা হিসাবে ‘দম’ দেওয়া ওয়াজিব হবে। আপনি যেহেতু উমরা এবং হজ্ব উভয়টি আদায়ের সময় তা পরেছিলেন। তাই আপনার উপর দুটি জরিমানা ‘দম’ ওয়াজিব হয়েছে।

উল্লেখ্য, উমরা বা হজ্বের ‘দম’ হেরেমের এলাকায় আদায় করা জরুরি। তাই আপনার এ ‘দম’দুটি হেরেমের এলাকার মধ্যে যবেহ করতে হবে। তবে এজন্য নিজের উপস্থিতি জরুরি নয়; বরং সেখানে কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমেও আদায় করানো যেতে পারে। আর এ ‘দমে’র গোশত গরীব-মিসকীনের হক। ধনী ব্যক্তিকে দেওয়া বা নিজে খাওয়া যাবে না।

তবে হাঁ, বাস্তবেই যদি আপনার জন্য এমন কাপড় পরা ছাড়া সতর হেফাজত করা কঠিন হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ওজরের কারণে আপনি চাইলে প্রতি জরিমানা দমের পরিবর্তে তিন দিন রোযা রাখতে পারেন বা ছয়জন মিসকীনের প্রত্যেককে একটি সদকা ফিতর পরিমাণ দান করতে পারেন। আর এ সদকা হেরেমের এলাকার ফকিরদের দেওয়া উত্তম, আবশ্যক নয়। অন্য জায়গার ফকিরদের দিলেও আদায় হয়ে যাবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আলমুহীতুল বুরহানী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪২৮
  • ফাতাওয়া হিন্দিয়া, পৃষ্ঠা: ২৪৪
  • আলবাহরুর রায়েক, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪
  • মানাসিক, মোল্লা আলী আলকারী, পৃষ্ঠা: ৩০০
  • রদ্দুল মুহতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৫৪৭

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ৬ জানু, ২১