ইমামের কেরাত অশুদ্ধ হলে করণীয়

মাসিক আল কাউসারনামায২ মার্চ, ২১

প্রশ্ন

ইমামের পিছনে যদি নামায পড়া সহীহ না হয় (অর্থাৎ তার কেরাত ভুল ও অশুদ্ধ হয়) তবে তাবলীগ জামাতে থাকা অবস্থায় ফেতনার আশঙ্কায় জামাতে নিজের নিজের নিয়তে তার পিছনে নামায পড়তে পারবে? বিস্তারিত দলীল-প্রমাণসহ জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

তাজবীদসম্মত কেরাত হওয়া জরুরি, কিন্তু কেরাতের যে কোনো প্রকার ভুলের কারণেই নামায নষ্ট হয়ে যায় না; বরং কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি তার অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কুরআনে বর্ণিত ঘটনা বা তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঈমান পরিপন্থী কথায় পরিণত হয় তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

তাই ইমামের কেরাতের ভুলের ক্ষেত্রে নিজ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিজ্ঞ আলেম বা কোনো মুফতী সাহেবকে ঐ অশুদ্ধ কেরাতের ধরন জানিয়ে এর হুকুম জেনে নেওয়া জরুরি। এতে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া থেকে বাঁচা যাবে। যদি বাস্তবেই প্রমাণিত হয় যে, ইমামের কেরাত এমন অশুদ্ধ, যার দ্বারা নামায নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ফিতনার আশঙ্কা থাকলে ঐ ইমামের পিছনে জামাতের সময় নামায পড়ে নিবে। পরে একাকী সেই নামায পুনরায় পড়ে নিবে। কিন্তু এ অবস্থায় ইমামের পিছনে জামাতে দাঁড়িয়ে একাকি নামায পড়বে না।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • সহীহ বুখারী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৬
  • ফাতহুল বারী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৮
  • জামে তিরমিযী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪৩
  • মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪৬
  • ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৯
  • রদ্দুল মুহতার, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬৩১
  • শরহুল মুনইয়াহ, পৃষ্ঠা: ৪৭৬

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২ মার্চ, ২১