ইমামতীর জন্য শর্ত

ইসলামী জিন্দেগীনামায২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

মসজিদের নির্ধারিত ইমাম নামাযে দাঁড়িয়েছেন। পেছন থেকে একজন বলল- বড় আলেম পিছনে রেখে নামায হয় না। কথিত “বড় আলেমের” জন্মেরও আগে থেকে ইমাম সাহেব বিনা পারিশ্রমিকে নিয়মিত নামায পড়ান। জামা‘আত শেষ হওয়ার পর উক্ত বড় আলেম ঘোষণা দিলেন, কারো নামায হয়নি। দোহরিয়ে নামায পড়তে হবে এবং তিনি দোহরিয়ে নামায পড়ালেন। প্রশ্ন হলো ইমামতীর শর্ত কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

ইমামতীর জন্য শর্তগুলো নিম্নরূপঃ

১. নামাযের মাসাইল সম্বন্ধে অবগত হওয়া। অর্থাৎ নামাযের ফরয ও ওয়াজিব ও সুন্নাত-মুস্তাহাব সমূহ জানা। কি কি বিষয় দ্বারা নামায নষ্ট হয়ে যায়, কি কি দ্বারা সাহু সিজদাহ ওয়াজিব হয় ইত্যাদি জানা।

২. এতটুকু কুরআন শরীফ সহীহভাবে হিফজ থাকা- যা দ্বারা নামাযের ‍সুন্নাত কিরাআত পড়তে পারে।

৩. তাকওয়া ও পরহেযগারী থাকা অর্থাৎ, গুনাহে কবীরা ও হারাম কাজ এবং বিদ‘আত থেকে বেঁচে থাকা।

মোটামুটি এতটুকু গুণ সম্পন্ন ব্যক্তিকে ইমামতীর জন্য নিযুক্ত করা যেতে পারে। ইমাম নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পরে তিনিই উক্ত মসজিদের ইমামতীর জন্য সবচাইতে উপযুক্ত ব্যক্তি। কোন বড় আলেম আসলেও তিনি বেশী উপযুক্ত হবেন না। সে অবস্থায় নির্ধারিত ইমামের ইমামতীতে নামায সঠিক হবে, দোহরাতে হবে না। তবে হ্যাঁ সম্মান প্রদর্শনের জন্য নির্ধারিত ইমাম সাহেব কোন বড় আলেমকে ইমামতীর জন্য এগিয়ে দিতে পারেন। এটা তার ইখতিয়ার। এটা তার জন্য ভালো, জরুরী নয়। মসজিদের ইমাম যদি যোগ্য না হন, তবে মুতাওয়াল্লীর বা কমিটির দায়িত্ব উপযুক্ত ইমাম নিয়োগ করা। নতুবা তারা গুনাহগার হবেন এবং এরূপ অযোগ্য ইমামের মসজিদে যোগ্য আলেম আসলে, তাকেই ইমামতীর জন্য আগে দাঁড়াতে হবে। আর সেরূপ অবস্থায় নির্ধারিত অযোগ্য ইমাম নামায পড়লে তা দোহরাতে হবে। কারণ, সহীহ পড়নেওয়ালার উপস্থিতিতে গলদ পড়নেওয়ালা নামায পড়ালে, সকলেরই নামায নষ্ট হয়ে যায়।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • ফাতাওয়া শামী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৭৩৫
  • ইমদাদুল আহকাম, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪১৪

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১