ক. আশুরার রোযার তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে চাই।
খ. আশুরার দিনের ফযীলত কী এবং এই দিনে রোযা রাখলে কী সওয়াব?
গ. শুনেছি, এই দিনে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। যেমন ইউনুস D মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইউসুফ D জেল থেকে মুক্ত হয়েছেন। মুসা D দলবলে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছেন আর ফেরআউন তার দলসহ ডুবে মরেছে। এ ঘটনাগুলি কি ঠিক?
- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -
ক. আশুরার তাৎপর্য সম্পর্কে একটি হাদীস উল্লেখ করছি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস e বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ c মদীনায় হিজরত করার পর দেখলেন, ইহুদীরা আশুরার দিন রোযা রাখে। রাসূলুল্লাহ c তাদেরকে রোযার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তারা বলেছিল, এটি মহিমান্বিত একটি দিন। এই দিনে মুসা D ও তার কওম নিস্তার পান। আর ফেরআউন ও তার দল ডুবে মারা যায়। সেই থেকে মুসা D শুকরিয়াস্বরূপ এই দিনে রোযা রাখতেন। সে হিসেবে আমরাও রোযা রাখি। তখন রাসূলুল্লাহ c বললেন, মুসা D -এর ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমরা অধিক হকদার। অতপর রাসূলুল্লাহ c নিজেও রোযা রাখলেন এবং অন্যদেরকে রোযা রাখার নির্দেশ করলেন।’
খ. আশুরার দিনটি মহিমান্বিত। হাদীস শরীফে এসেছে-এই দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তাওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যদের তাওবা কবুল করবেন।
আর এই দিনে রোযা রাখলে পেছনের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
গ. এই দিনে মুসা D তার কওমসহ ফেরআউনের হাত থেকে রক্ষা পান এবং ফেরআউন তার দলবলসহ সমুদ্রে ডুবে মারা যায়-একথা সত্য। এ উত্তরের ‘ক’ অংশে সহীহ বুখারীর যে বর্ণনাটি উল্লেখ করা হয়েছে তাতে একথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। কিন্তু প্রশ্নের অন্যান্য ঘটনা লোকমুখে প্রসিদ্ধ থাকলেও এ সম্পর্কে কোনো বিশুদ্ধ বর্ণনা নেই। প্রখ্যাত হাদীস বিশারদগণ বলেন, এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই।
- والله اعلم باالصواب -