আশুরার তাযিয়া মিছিল ও মাতম

ইসলামী জিন্দেগীসভ্যতা ও সংস্কৃতি২৩ ফেব, ২১

প্রশ্ন

আশুরা তারিখে শী‘আ ও রাফেযীরা তাযিয়া মিছিলের যে মাতম করে থাকে শরী‘আতের দৃষ্টিতে তার হুকুম কি?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

আশুরার তারিখে শী’আ ও রাফেযীরা তাযিয়া মিছিলের যে মাতম করে থাকে, শরী‘আতের দৃষ্টিতে তা মারাত্মক গুনাহের কাজ ও হারাম। হযরত আব্দুল কাদির জিলানী i বলেনঃ ‘যদি হুসাইনের e শাহাদাতের দিনে মাতম ও শোক পালন করা হয়, তাহলে সোমবার দিন শোক পালনের বেশী উপযোগী। কারণ, এই দিনে স্বয়ং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ও প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর e ইন্তেকাল করেন।’ অথচ এই দিনে কেউ শোক পালন করে না। হযরত ইবনে হাজার মাক্কী i বলেনঃ “ খবরদার! হায় হুসাইন! ইত্যাদি বলে কান্নাকাটি করো না। কারণ, এসব কার্যকলাপ মুসলমানদের শোভা পায় না।” মোটকথা, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ও নবীগণের মৃত্যুতেই বার্ষিক শোক দিবস পালনের অনুমতি দেননি। তাহলে অন্য লোকের মৃত্যুতে শোক দিবস পালনের তো প্রশ্নই উঠে না। হ্যাঁ, তাদের রুহে সাওয়াব রিসানীর জন্য ব্যক্তিগতভাবে দু’আ কালাম পড়তে কোন অসুবিধা নেই।

শী’আ সংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে “হায় হুসাইন”, “হায় হুসাইন” বলে চিৎকার করতে থাকা, বুক চাপড়ানো, তাযিয়া স্থাপন, মর্সিয়া-ক্রন্দন প্রভৃতি প্রদর্শনের জন্য আশুরা মোটেও নয়। আশুরাতো পৃথিবীর বড় বড় ইতিহাসের সম্মিলনী। পৃথিবীর শুরু থেকে বিভিন্ন নবীগণের মহান ঘটনাবলী এ তারিখেই সম্পন্ন হয়েছে। পূর্বের উম্মতের উপর রমযানের পরিবর্তে আশুরার রোযা ফরয ছিল। সেই সকল ফযীলতের ভিত্তিতেই রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এদিন রোযা রাখতে বলেছেন। হযরত ইমাম হুসাইন e -এর শাহাদাত ঐ ফযীলতের দিনে হওয়ায় তা আরও বেশী ফযীলতপূর্ণ হয়েছে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • আল-বেদায়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৪০
  • ফাতাওয়া মাহমূদিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩৯০
  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৩৯০
  • ফাতাওয়া রহীমিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২৭৩

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৩ ফেব, ২১