অবৈধ অর্থ দ্বারা ইমামের বেতন

ইসলামী জিন্দেগীমসজিদ-মাদ্রাসার বিধান২৪ ফেব, ২১

প্রশ্ন

মুসল্লীরা যদি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে ইমামকে বেতন প্রদান করে, তাহলে ইমামের জন্য সেই বেতন নেয়া জায়িয হবে কি-না?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

কুরআন কারীমে আল্লাহ তা‘আলা কোন মানুষের প্রতি বিনা দলীল-প্রমাণে খারাপ ধারণা করতে নিষেধ করেছেন। তাই নিশ্চিতভাবে না জেনে অযথা মুসল্লীদের মাল অবৈধ পন্থায় উপার্জিত হওয়ার ব্যাপারে খারাপ ধারনা করা নাজায়িয। বরং এরূপ ক্ষেত্রে মুসলমানদের ব্যাপারে ভাল ধারনা পোষণ করার জন্য হাদীসে নির্দেশ এসেছে। সুতরাং মুসল্লীদের মালের অর্ধেক বা অর্ধেকের বেশী হারাম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানার পূর্বে ইমাম সাহেবের জন্য মুসল্লীদের নিকট থেকে বেতন নেয়া জায়িয হবে।

তবে যদি কোন ইমাম নিশ্চিতভাবে জানতে পারেন যে, অমুক মুসল্লীর অর্ধেক বা অধিকাংশ মাল হারাম পন্থায় উপার্জিত তাহলে ইমাম সাহেব সেই মুসল্লী থেকে বেতন, ভাতা ও হাদিয়া ইত্যাদি গ্রহণ করবেন না। আর যদি ইমাম সাহেব বিশেষ কোন মুসল্লীর অর্ধেকের বেশী মাল হালাল হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন বা এ ব্যাপারে তার অন্তরে প্রবল ধারনা সৃষ্টি হয়, তাহলে তার থেকে বেতন বা হাদিয়া গ্রহণ জায়িয হবে।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • ইমদাদুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৪৭
  • ফাতাওয়া রহীমিয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ১৯৫
  • আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ২২
  • মিশকাত, পৃষ্ঠা: ২৪৪
  • সূরা: মায়িদা, আয়াত:
  • সূরা: হুজুরাত, আয়াত: ১২

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২৪ ফেব, ২১