অনৈসলামিক তরিকায় নাম রাখলে করণীয়

ইসলামী জিন্দেগীসভ্যতা ও সংস্কৃতি২২ ফেব, ২১

প্রশ্ন

ইসলামী নাম ছাড়া অন্য কোন নাম যেমন, নয়ন, স্বপন, বাদল, নুপুর ও পাপ্পু ইত্যাদি রাখা ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন ? যদি রেখেই ফেলে এবং সেই নামের উপর পরিচিতি লাভ করে, তাহলে তার জন্য করণীয় কি ?

উত্তর

- حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم -

হাদীস শরীফে আছে হুযূর c ফরমায়েছেন- তোমাদের সন্তান হলে, সর্বপ্রথম তোমরা এ সন্তানের সুন্দর একটা নাম রাখ। -আবূ দাউদ শরীফ ৩৯২

এর দ্বারা ইসলামী নাম রাখার প্রতি গুরুত্ব বুঝা গেল। আর এটাই সন্নাত তরীকা। কয়েক বৎসর পূর্ব থেকে বিশেষ করে আমাদের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে হিন্দুয়ানী প্রথা হিন্দি ও সাংস্কৃতির প্রভাব আস্তে আস্তে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশী মুসলমানদের উপর চাপতে শুরু করে। অপর দিকে ধর্মীয় ইলম শিক্ষা করা, যা সব চেয়ে গর্বের বিষয় ছিল, বাঙালীরা তা শুধু পরিহার নয়, বরং ওগুলোকে রীতিমত হেয় মনে করে এবং আল্লাহর দুশমনের বিদ্যাকে খুবই উঁচু নযরে দেখতে থাকে। তখনই এসব ইসলামী তাহযীব ও তামদ্দুন রীতি-নীতি তাদের থেকে বিদায় নিতে থাকে। আর তাদের মধ্যে বিজাতীয় অন্ধ অনুকরণের পরিণতিতে বিজাতীর নগ্ন সভ্যতা, তাদের কৃষ্টি কালচার ও ভাবধারা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে এবং পরিণতিতে ইসলামী নামের স্থলে এসব উদ্ভট, উৎকট ও বিশ্রী-কুশ্রী হিন্দুয়ানী নাম মুসলিম সমাজে প্রচলিত হয়ে পড়ে। এ প্রথার পরিবর্তন মুসলমান মিল্লাতের জন্য একান্ত জরুরী। কারণ, এসব প্রথা এভাবে চলতে থাকলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সুন্নত সমূহ বিদায় নিতে থাকবে, হিন্দুয়ানী বা বিজাতীয় প্রথা প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে মুসলিম মিল্লাত নীতিহীন এক কাংগাল জাতিতে পরিণত হয়ে পৃথিবীর মধ্যে লাঞ্ছিত ও পদদলিত হতে থাকবে।

অতএব কোন ‍মুসলমান না জানার কারণে এ ধরণের নাম স্বীয় সন্তানের জন্য রাখে এবং ঐ নামেই সে পরিচিতি লাভ করে, তবুও ঐ নাম পরিবর্তন করে ইসলামী নাম রাখতে হবে। যেমন হুযূর c অনেক সাহাবায়ে কেরামগণের নাম এরূপভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন।

- والله اعلم باالصواب -

সূত্র

  • মিরকাত, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৬৯
  • বুখারী, খন্ড: , পৃষ্ঠা: ৯১৪

আনুষঙ্গিক তথ্য

ফতোয়া প্রদানের তারিখ: ২২ ফেব, ২১